লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃজেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যানার, ফেস্টুন, ভিডিওচিত্র, বক্তৃতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে তুলে ধরা;সর্বস্তরের জনগণকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত করা;সরকারের ভবিষ্যৎ কর্পমরিকল্পনা, এমডিজি অর্জনে সরকারের সাফল্য প্রচার এবং এসডিজির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যসমূহ জনগণকে অবহিতকরণসহ এসডিজির লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করা,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাগণের যৌথ অংশগ্রহণে স্থানীয় সমস্যা স্ম্পর্কে মতবিনিময় ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তৈরি; সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর সমূহের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করে ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোলা জেলাকে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ‘মধ্যম আয়ের জেলায়’ রূপান্তরিত করা।সরকারি সেবাসমূহ জনগণকে অবহিতকরণ এবং তাৎক্ষণিক ই-সেবা প্রদান।
উল্লেখযোগ্য অর্জনঃ ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রদ্বীপজেলা ভোলায় ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ভোলা ও এর পাশ্ববর্তী এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূ্র্ণ্ ভূমিকা পালন করছে।এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মধ্যদিয়ে দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দক্ষিণ কুতবা এলাকায় অবস্থিত এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দক্ষিণাঞ্চলের ‘বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র’। এটি জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এ বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে অবসান হয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের।উল্লেখ্য, ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২০১৩ সালের ১৩ জুলাই প্রায় ২ হাজার ২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চায়না চেঙ্গেদা কোম্পানি ২২৫ কিলোমিটার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের কাজ শুরু করে। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে এর যাবতীয় কাজ শেষ হয়। সেপ্টেম্বর মাস থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষমূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র দীর্ঘ ১৮ বছর পর বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট প্রথম ভোলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস সংযোগের উদ্বোধন করা হয়।এ গ্যাসক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করেই ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে ২শ’ ২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র বা পাওয়ার প্লান্ট।এছাড়া, এ গ্যাসক্ষেত্র ও পাওয়ার প্লান্টকে কেন্দ্র করে ভোলা জেলায় ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তোলার জন্য সরকার বিশেষ বিবেচনা করছে।
উন্নয়ন মেলার কর্মসূচীঃআগামী ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ খ্রি. বিকাল ০৩:১৩ ঘটিকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে উন্নয়ন মেলা ২০১৭ এর শুভ উদ্বোধন করবেন । এছাড়া, উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জনাব মহব্বত জান চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বোরহানউদ্দিন, ভোলা।
ক) বোরহানউদ্দিন শিশু পার্ক (কুতুবা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন) প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্টল নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগসহ ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে বর্ণিলভাবে সজ্জিতকরণ।
খ) উদ্বোধনী দিনে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকল সরকারি দপ্তর এবং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আরম্ভ করে বোরহানউদ্দিনের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলা প্রাঙ্গণে আগমন।
গ) মেলায় অংশগ্রহণকারী স্ব স্ব বিভাগ তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম এমনভাবে তুলে ধরবে যাতে জনগণ সরকারের উন্নয়ন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারে। এক্ষেত্রে মেলার স্টলসমূহে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের সাহায্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ১০টি উদ্যোগ ও সাফল্যগাঁথা তুলে ধরা।
ঘ) মেলা চলাকালীন সময়ে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ১০টি উদ্যোগ সংক্রান্ত রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন। এছাড়া মাধ্যমিক, প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন।
ঙ) স্থানীয় কেবল নেটওয়ার্ক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে উন্নয়ন মেলার ব্যাপক প্রচার।
চ) মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক উন্নয়ন এবং ভোলা জেলার আঞ্চলিক সংগীত সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। এ বিষয়ে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শন বিষয়ে বিশেষ গান রচনাপূর্বক পরিবেশন।
ছ) প্রতিদিন বিকাল ৩:০০ ঘটিকা হতে রাত ০৮:০০ ঘটিকা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।তাছাড়া মেলায় স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পিঠা, বাঁশ-বেতের তৈরি সামগ্রী প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস