শিক্ষা হচ্ছে জ্ঞানের আলোক বর্তিকা। আর কোনো জাতীর আত্মপরিচয়ই হচ্ছে সে জাতীর সংস্কৃতি। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীর চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন ঘটে। সংস্কৃতি হচ্ছে দর্পণ। দর্পণে যেমন নিজের চেহারা দেখা যায়, তেমনি কোনো দেশের বা স্থানের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দেখেই সে দেশের বাসস্থানের সার্বিক চিত্র অনুধাবন করা যায়।
বাংলাদেশের অনাদিকাল থেকে লালিত ঐতিহ্যমণ্ডিত সংস্কৃতির এক চারণভূমি আমাদের ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা। পাকিস্তান আমলে জনগোষ্ঠি চিরাচরিত বাঙালি মেজাজ ও ধারায় সংস্কৃতির চর্চা করছে। এর মাধ্যমে তাদের জীবন ধারা, চিন্তা-চেতনা, হাসি-কান্না, চাওয়া-পাওয়াকে তারা তুলে ধরেছে। ধর্ম এবং চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য তাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছে সর্বদা। মক্তবে -মসজিদে কিংবা মন্দির-গুরুগৃহে তারা বিদ্যার্জন করেছে। স্রষ্টার প্রতি তারা নিবেদিত হয়েছে। তারা ঈদ উৎসবে মেতেছে, মেতেছে বিভিন্ন পূজা পার্বন, নবান্ন, বর্ষবরণ, বিবাহ, কিংবা জাতীয় ও পারিবারিক নানা উৎসবে। পূঁথি পাঠের আসর বসেছে; লাঠিখেলা, বাইচকোপ, মঞ্চে অভিনয় অনুষ্ঠান করেছে। যাত্রাপালার আয়োজন করেছে প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জে। কাজের অবসরে এগুলোতে অবগাহন করে সবাই তৃপ্ত হয়েছে।
প্রত্যেক জেলা বা অঞ্চলের (ইউনিয়ন) স্বকীয়তায় আঙ্গিকে বিশেষভাবে স্থানিক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত একটি ভাষা থাকে, সেটি কথ্য ভাষা। সাধারণত কথ্যভাষা আঞ্চলিক ভাষানামে পরিচিত। বোরহানউদ্দিন উপজেলার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত অঞ্চলিক ভাষা থাকলেও বাংলা ভাষার সাথে এক তফাৎ সামান্য। ফলে আঞ্চলিক ভাষাকে সাধারণ ভাষাভাষী আগন্তকের কাছে দুর্বোধ্য করে তুলেনি। চট্রগ্রাম,নোয়াখালী, পটুয়াখলী, বরিশাল কিংবা সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা শুনে সহজে বলা যায়, কোন অঞ্চলের ভাষা কিন্ত বোরহানউদ্দিন আঞ্চলিক ভাষা দিয়ে এরুপ কোনো অনুমান করা যায় না।
বাংলা শুদ্ধ ও আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। এখানে মুসলমানগণ ২টি ঈদ (ঈদ-উল ফিতর, ঈদ-উল আযাহ) ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের সাথে পালন করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শারদীয় দুর্গাপূজা আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করেন।
এই হচ্ছে বোরহানউদ্দিন উপজেলার ভাষা ও সংষ্কৃতি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS